ঘুম মানুষের জীবনের জন্য অপরিহার্য একটি বিষয়। সুস্থ ও সবল থাকতে প্রতিদিন গড়ে ৭ ঘণ্টা ঘুম প্রয়োজন। তবে অনেকেই নিদ্রাহীনতায় ভোগেন, যার ফলে পর্যাপ্ত ঘুম থেকে বঞ্চিত হন, যা তাদের জীবন ও দৈনন্দিন কাজকর্ম প্রভাবিত করে।
বেশিরভাগ মানুষ তাদের শয়নকক্ষ সাজানোর সময় জেগে থাকার সময়ের সুযোগ সুবিধার কথাই বেশি চিন্তা করেন। বেডরুমের পরিবেশ আমাদের ঘুমকে নানা ভাবে প্রভাবিত করে। তাই এটি ঘুমের জন্য উপযোগী না হলে তা আপনার জীবনকে নেতিবাচক ভাবে প্রভাবিত করবে।
তাই আসুন জেনে নিই ঘুমের জন্য উপযোগী বেডরুমের পরিবেশ ঠিক কেমন হওয়া উচিত
তাপমাত্রা
তুলনামূলক ভাবে একটু কম তাপমাত্রায় ঘুম ভাল হয়। তাই খেয়াল রাখতে হবে আমাদের বেডরুমটি যেন দিনের বেলায় খুব বেশি উত্তপ্ত হয়ে না যায়। যাদের রুমে তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা আছে, তারা সহজেই এটি করতে পারবেন।
আলো
উজ্জল আলো আমাদের ঘুমকে বিঘ্নিত করতে পারে, অন্যদিকে গাঢ় অন্ধকারে ভাল ঘুম হয়। তাই ঘুমানোর সময় বেডরুমে যাতে আলো না থাকে সে বিষয়ে সচেতন হোন। যারা অন্ধকারে ঘুমাতে পছন্দ করেন না, তারা গাঢ় ডিম লাইট ব্যবহার করতে পারেন।
গুছিয়ে রাখুন
বেডরুম গোছানো থাকলে মানসিকভাবে শান্তিতে থাকা যায় এবং ভাল ঘুম হয়। তাই বেডরুমের জিনিপত্র এলমেলো করে রাখবেন না। বিশেষ করে বিছানায় জিনিসপত্র ছড়িয়ে ছিটিয়ে না রাখাই উত্তম।
আরমদায়ক তোষক-চাদর ব্যবহার করুন
তোষক বা বিছানা চাদর আরমদায়ক না হলে ঘুম ভাল হয় না। এটা আমাদের বিশ্রামের সময়, তাই যতটা সম্ভব আরমদায়ক তোষক ও বিছানা চাদর ব্যবহার করুন।
বালিশ
ঘুমের জন্য বালিশ ঘুম দরকারী অনুসঙ্গ। বালিশ যথাযথ না হলে শান্তির ঘুমে বিঘ্ন ঘটবেই। অতিরিক্ত উচু, নিচু কিংবা শক্ত বালিশ ঘুমের ব্যাঘাত ঘটাতে পারে।
শব্দ
বাইরের শব্দ বেডরুমে যত কম প্রবেশ করবে ততই ভাল। কারণ শব্দ আমাদের ঘুমে ব্যাঘাত ঘটায় এবং আমাদের চিত্ত অশান্ত করে তোলো।
তাছাড়া ঘুমের সময় আরমদায়ক পোশাক পরিধানের অভ্যাস গড়ে তুলুন। তথ্যসূত্র: হেলথলাইন.কম
টাইমস/এনজে/এসএন